আসল মধু চেনার উপায়

আসল মধু চেনার উপায়

সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষের খাদ্যতালিকার অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে মধু৷ এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে অবশ্য৷ মধু খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি মানবদেহে মধুর উপকারিতাও অপরিসীম৷ এর মধ্যে অন্যতম হল, মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷ তবে মধু যেমন সকলের প্রিয় তেমনি আসল মধু চেনার উপায় নিয়ে বিভ্রান্তিরও কোন কমতি নেই৷

প্রাচীন যুগ থেকেই মধু সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল ধারণা রয়ে গেছে আমাদের মধ্যে৷ অধিকাংশ মানুষই মধু সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল তথ্য জানেন৷ এসব বিভ্রান্তিকর ভুল তথ্যের জন্যই অনেকসময় আপনারা খাঁটি মধুকেও ভেজাল মনে করেন আবার ভেজাল মধুকে খাঁটি মধু ভেবে বাজার থেকে ক্রয় করে আনেন৷ আপনারা জানেন প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের পাশাপাশি আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা৷ এই লক্ষ্যে আজকে আমরা আলোচনা করবো আসল মধু চেনার উপায় নিয়ে৷ যেন আপনারা খাঁটি মধু বা আসল মধু চিনে ক্রয় করতে পারেন এবং আপনাদের মধু কিনতে যেয়ে যেন কারো কাছে প্রতারণার শিকার হতে না হয়। পোস্টটি যারা পড়ছেন, আশা করছি আজকের পর থেকে মধু সম্পর্কে আপনাদের কোন ভুল ধারণা থাকবে না৷ তো আসুন, আসল মধু চেনার উপায় সম্পর্কে আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি শুরু করা যাক!

নকল মধু কি এবং ভেজাল মধু কি?

নকল মধুঃ মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ঘুরে ফুলের নেকটার সংগ্রহ করে তাদের মৌচাকে জমা করে যে মধু তৈরি করে সেটি হল আসল প্রাকৃতিক মধু৷ কিন্তু বাজারের সব মধুই আসল মধু নয়৷ আপনি খুব সহজেই খোলা বাজার থেকে নকল মধু কিনে প্রতারিত হতে পারেন৷ অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ক্যামিক্যালের মিশ্রণের মাধ্যমে কৃত্তিমভাবে এই নকল মধু তৈরি করে থাকে৷ এসব নকল মধু আমাদের শরীরের জন্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিকর৷ এমনকী দীর্ঘদিন নকল মধু পান করলে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে৷

ভেজাল মধুঃ বাজারে নকল মধুর থেকে ভেজাল মধুর পরিমাণই বেশি৷ ভেজালকারীরা তাদের মধুটাকে ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য ভাল মধুর সঙ্গে নকল মধু মিশিয়ে থাকে৷ আবার অনেকসময় তারা ভাল মধুর সঙ্গে চিনির শিরা বা গুড় মিশিয়েও ভেজাল মধু তৈরি করে থাকে অধিক লাভের আশায়৷

তাহলে কি বাজারের সব মধুই ভেজাল? এর উত্তর হল “না” বাজারের সব মধু ভেজাল নয়৷ আপনি যদি জেনে বুঝে ক্রয় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বা আপনার পরিবারের জন্য খাঁটি মধুটা ক্রয় করতে পারবেন৷ তবে তার জন্য আপনাকে মধু সম্পর্কে যে সকল ভুল তথ্য ছড়িয়ে আছে সেগুলি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ পাশাপাশি মধু সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলি জানতে হবে৷

মধু সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল মতবাদঃ

  • খাঁটি মধু জমে না৷
  • খাঁটি মধুতে পিঁপড়া ধরে না৷
  • শুধুমাত্র খাঁটি মধু দিয়েই আগুন জ্বালানো যায়৷
  • খাঁটি মধু পানিতে দিলে একদম সোজাসুজিভাবে নেমে পাত্রের তলে যেয়ে জমা হয়৷
  • খাঁটি মধু খুব বেশি পাতলা বা খুব বেশি ঘন হয়না৷
  • বৃদ্ধাঙ্গুলের নখের উপর এক ফোটা মধু রেখে আঙ্গুল নাড়ালে তা গড়ে পড়বে না৷
  • খাঁটি মধুর রং শুধুমাত্র গাঢ় লাল বা খয়েরি হয়৷

আপনাদের আজকে প্রমাণ করে দেখাব, উপরে উল্লেখিত সব তথ্যগুলোই ভুল৷ এসব তথ্যের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই৷ 

প্রমাণঃ

১. মধু জমে যাওয়াঃ

খাঁটি মধু জমে যাবে এটি একটি স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানসম্মত ব্যাপার৷ মধুর অন্যতম উপাদান হল গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ৷ যে মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে সেটি অল্পদিনেই জমে যায়৷ মধু জমে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে মধুর স্ফটিকায়ন বলা হয়৷ আমাদের দেশে সরিষা মৌসুমের মধু, লিচু মৌসুমের মধু, ধনিয়া ফুলের মধু প্রভৃতি বেশি জমতে দেখা যায়৷ তবে সব মধুই যে জমে যাবে তাও নয়৷ যে মধুতে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি এবং গ্লুকোজের পরিমাণ কম সেটি জমবে না৷ কম ঘনত্বের মধুও জমতে কম দেখা যায়৷ যেমন, বাংলাদেশের সুন্দরবনের মধু কখনোই জমে না৷

২. পিঁপড়া পরীক্ষাঃ

আমরা হয়তো সকলেই দেখেছি যে বাসা-বাড়িতে গ্লুকোজ কিনে রাখলে সেই পাত্রে পিঁপড়া ওঠে৷ অর্থাৎ পিঁপড়া গ্লুকোজ খায়৷ যেহেতু মধুর অন্যতম উপাদনই গ্লুকোজ সুতরাং মধুতে যে পিঁপড়া ধরবে এটি খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার৷ তাই পিঁপড়া পরীক্ষা ভিত্তিহীন৷

৩. আগুন পরীক্ষাঃ

আগুন জ্বলতে সাহায্য করে মূলত মোম৷ যেহেতু মৌমাছির মৌচাক মোমের তৈরি৷ তাই মধুতে সামান্য পরিমাণ প্রাকৃতিক মোমের উপস্থিতি পাওয়া যায়৷ এজন্য কোন কাপড়ে মধু লাগিয়ে তাতে আগুন ধরালে তা জ্বলতে থাকে৷ কিন্তু ভেজাল মধু দিয়ে যে এরকম আগুন জ্বালানো যাবেনা তা নয়৷ আপনি যদি চিনির শিরাতেও মোম মিশিয়ে এভাবে কাপড়ে লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন, দেখবেন জ্বলছে৷ আপনি চাইলে এটি আপনার বাসায় পরীক্ষাও করে দেখতে পারেন৷ তাই শুধুমাত্র খাঁটি মধু দিয়েই আগুন জ্বালানো যায় এই কথাটিও ভুল৷

. পানি পরীক্ষাঃ

মধু ক্রয়ের পর এই পরীক্ষাটি অনেকেই করে থাকেন৷ একটি কাঁচের গ্লাসে পানি নিয়ে তাতে মধু ঢেলে দিয়ে দেখেন যে মধুটা সোজাসুজি নেমে পাত্রের নিচে যেয়ে জমেছে নাকি পানিতে মিশে যাচ্ছে হালকা৷ আসলে এটি নির্ভর করে মধুর ঘনত্বের উপর৷ যদি ঘন মধু পানিতে ঢালা হয় তাহলে মধুটা সোজা পাত্রের নিচে যেয়ে জমবে৷ আর যদি খুব পাতলা মধু একটু কাঁচের গ্লাসে ঢালা হয় তখন দেখলে মনে হবে মধুটা পাত্রের তলায় পড়ার আগে পানিতে হালকা মিশে যাচ্ছে৷

৫. মধুর ঘনত্বঃ

মধুর ঘনত্ব নির্ভর করে মূলত মধুর আদ্রতার উপর৷ যে মধুতে আদ্রতা বেশি সেটি পাতলা হয়৷ এই আদ্রতার আবার মৌসুমভেদেও বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অন্য মৌসুমের তুলনায় বেশি থাকে তাই বর্ষাকালের মধু পাতলা হতে বেশি দেখা যায়। সাধারণত মৌচাকে মধুর বয়স যদি কম হয় তাহলে মধু পাতলা হয়ে থাকে৷ অন্যদিকে যে মধুতে আদ্রতার পরিমাণ কম সেটি ঘন হয়৷ কোন মৌচাকে যদি মধু সম্পূর্ণ পরিপক্ব হবার জন্য যথেষ্ট সময় পায় তাহলে মধুটা ঘন হবে৷ সুতরাং মধুর ঘনত্ব পাতলা বা ঘন উভয়ই হতে পারে৷ 

৬. মধুর রংঃ

মধুর রং নির্ভল করে ফুলের নেকটারের উপর৷ প্রকৃতিতে এক এক সময় এক এক ফুলের আধিক্য থাকে৷ সংগত কারণে বিভিন্ন মৌসুমের মধুর রং ও বিভিন্ন হয়৷ যেমনঃ সরিষা মৌসুমের মধুর রং প্রায় হলুদ বর্ণ৷ আবার বর্ষাকালে মধুর রং হয় সাধারণত লালচে বর্ণের৷

৭. নখের মাধ্যমে পরীক্ষাঃ

অনেকে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখের উপর এক ফোটা মধু দিয়ে পরীক্ষা করেন মধু খাঁটি কিনা৷ যদি মধু নখ থেকে গড়ে না পড়ে তাহলে খাঁটি আর পড়ে গেলে তা ভেজাল৷ আসলে এটি একটি ভুল ধারণা৷ আপনি যদি আপনার নখে এক ফোটা ঘন মধু রেখে আঙুল নাড়াচাড়া করেন তাহলে দেখবেন মধু গড়ে পড়ছে না৷ অপরদিকে একটা ফোটা পাতলা মধু নখের উপর রেখে আঙুল নড়ালে মধুটা গড়ে পড়ে যাবে৷ সুতরাং এই পড়ে যাওয়া, না পড়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করে মধুর ঘনত্বের উপর৷ এ দিয়ে মোটেই বোঝার সুযোগ নেই মধু খাঁটি নাকি ভেজাল৷ ঘন ভেজাল মধু নখের উপর রেখে আঙুল নাড়ালেও যেমন নখে লেগে থাকতে পারে তেমনি খাঁটি পাতলা মধু নখের উপর রেখে আঙুল নাড়লে নখ থেকে গড়ে পড়ে যেতে পারে৷

সুতরাং, উপরের আলোচনাগুলো থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম যে উল্লেখিত ভুল মতবাদ গুলো আসলেই ভুল এবং এগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই৷

তাহলে আসল মধু চেনার উপায় কি?

আসল মধু চেনার কি কোন উপায় নেই তাহলে? অবশ্যই আছে৷ আপনাদের আজকে মধু পরীক্ষা করার ৩টি উপায় শিখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব যার মধ্যমে আপনারা সহযেই বুঝতে পারবেন মধু খাঁটি নাকি ভেজাল৷

  • ১ম উপায়ঃ মধু পরীক্ষা করার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল ল্যাব টেস্ট৷ একমাত্র ল্যাবটেস্টের মাধ্যমেই আপনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারবেন মধুতে কোন ভেজালদ্রব্য মিশ্রিত আছে কিনা৷ কিন্তু সমস্যা হল, ল্যাবটেস্ট বেশ ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং সব জায়গায় ল্যাব টেস্টের সুবিধা নেই৷ আপনি বিএসটিআই অফিসে যেয়ে মধুর নমুনা দিয়ে এর ল্যাব টেস্ট করাতে পারবেন৷
  • ২য় উপায়ঃ আপনি আপনার বাসাতে একটি pH মিটার কিনে রাখতে পারেন৷ এটি বেশ সহযলভ্য একটি যন্ত্র এবং এর দামও কম৷ আপনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে pH মিটার পেয়ে যাবেন বাজারে৷ pH মিটারের সাহায্যে আপনি খুব সহযে বুঝতে পারবেন আপনার মধুর pH মান কত৷ প্রাকৃতিক মধুর গড় pH মান ৩.৯ ৷ তবে এর মান ৩.৪ থেকে ৬.১ পর্যন্ত হতে পারে৷ যদি আপনার মধুতে pH মান এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে নিশ্চিত তাতে কোন ভেজালদ্রব্য মিশ্রিত আছে৷
  • ৩য় উপায়ঃ ৩য় উপায় হল মধু সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করা৷ বাংলাদেশের মধু ব্যবসায়ীরা এবং মৌয়ালেরা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝতে পারেন মধু খাঁটি নাকি ভেজাল৷ বাংলাদেশে যে মধুগুলি বেশি পাওয়া যায় যেমন সরিষা ফুলের মধু, লিচু ফুলের মধু, সুন্দরবনের মধু, কালোজিরা ফুলের মধু এই মধুগুলি বিশ্বস্ত কোন সোর্স থেকে আপনি যদি কয়েক মৌসুমে সংগ্রহ করেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন কোন মৌসুমের মধুর বৈশিষ্ট কেমন৷ তারপর আপনার এই অভিজ্ঞতা থেকে মধুর বৈশিষ্ট অনুযায়ী সহযেই আসল মধু চিনতে পারবেন৷
মধুর বৈশিষ্ট

বৈশিষ্টের মধ্যমে মধু চেনাঃ

আসল মধু চেনার সবচেয়ে সহয উপায় হল মধুর সঠিক বৈশিষ্ট জানা৷ আপনি যদি জানেন কোন মধুর বৈশিষ্ট কেমন তাহলে আপনার ভেজাল বা নকল মধু কিনে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা খুবই কম৷ জনসাধারণের কাছে নির্ভেজাল মধু পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের শুদ্ধশপের যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে৷ তখন থেকেই আমরা চেষ্টা করে আসছি মধু নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে৷ আমাদের এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের আজকে বাংলাদেশে সহযলভ্য মধুগুলোর বৈশিষ্টগুলি শিখিয়ে দিব৷ এর মাধ্যমে আপনি খুব সহযেই মধু চিনে ক্রয় করতে পারবেন আশা করছি৷

  • বাংলাদেশে সুন্দরবনের মধু এবং একক কালোজিরা ফুলের মধু ব্যতীত সকল মধু একটি নির্দিষ্ট সময় পরে জমে যাবে৷ সরিষা ফুলের মধু, ধনিয়া ফুলের মধু, লিচু ফুলের মধু বেশি জমতে দেখা যায়৷
  • জমে যাওয়া মধুর রং ঘি এর মত দেখায় এবং অনেকটা ক্রীমের মত বা দানাদার হয়ে যায়৷ জিহ্বাতে নিলে এটি গলে যাবে এবং খেতে গ্লুকোজের মত লাগবে৷ 
  • সুন্দরবনের মধু সবসময় পাতলা এবং ফ্যানাযুক্ত হবে৷ পাত্রে আটকে রাখলে পাত্রের মধ্যে গ্যাস তৈরি হবে৷ আপনাকে কোন বিক্রেতা যদি সুন্দরবনের নন-প্রসেসড ঘন মধু অফার করে বা মধু ঝাঁকি দিলে যদি ফ্যানা না হয় সেটি অবশ্যই ভেজাল মধু৷ 
  • সরিষা ফুলের মধুতে সরিষা ফুলের একটা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে এবং লিচু ফুলের মধুতে লিচুর মত স্বাদ এবং ঘ্রাণ পাওয়া যাবে৷
  • কালোজিরা ফুলের মধুর রং কালচে বর্ণের হয় এবং এর স্বাদ অনেকটা গুড়ের মত৷ এর ব্যতিক্রম হলে সেটি অবশ্যই ভেজাল৷
  • সরিষা, লিচু বা ধনিয়া ফুলের মধু বলে ক্রয় করা মধু যদি কখনো না জামে তবে তা আসল মধু নয়৷
  • প্রকৃতিক খাঁটি মধু যেকোন পাত্রে কিছুদিন রেখে দিলে মধুর উপরে ফুলের পরাগরেণুর হালকা আবরণ পড়বে৷ এই পরাগরেণু বা পোলেন হল উন্নতমানের প্রোটিনের উৎস এবং এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল৷ স্থানীয় ভাষায় মধুতে পরাগরেণুর এই আবরণকে মধুর গাদ ও বলা হয়৷ সুতরাং, যে মধুতে পরাগরেণু বা গাদ জমবে সেটি খারাপ মধু নয় বরং সেটিই আসল প্রাকৃতিক মধু৷

শেষকথাঃ

সবসময় চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত কোন প্রতিষ্ঠন থেকে মধু ক্রয় করার৷ যেহেতু বাজারে নকল এবং ভেজাল মধুর কোন অভাব নেই তাই প্রতারিত হবার ঝুঁকিও অনেক বেশি৷ কাজেই আপনি যদি কোন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মধু ক্রয় করেন এবং ক্রয়কৃত মধুর সঙ্গে উপরে উল্লেখিত বৈশিষ্টগুলি মিলিয়ে নেন তাহলে প্রতারিত হবার কোন ঝুঁকি থাকবে না আশা করছি৷

এর সাথে আরেকটি কথাও জানিয়ে রাখি, আপনাদের জন্য শুদ্ধশপ বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে নিজস্ব টীমের মাধ্যমে প্রাকৃতিক মৌচাকের মধু সংগ্রহ করে সরাসরি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে৷ আমাদের সংগৃহীত মধু সম্পূর্ণ নির্ভেজাল এবং ভাল মানের, আমরা সবসময় আমাদের ক্রেতাদের এই নিশ্চয়তা দিয়ে থাকি। আপনি চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের মধ্যমেই অর্ডার করতে পারবেন খাঁটি মধু অথবা আমাদের প্রতিনিধির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেও আপনার অর্ডারটি করতে পারেন৷

সরাসরি যোগাযোগের জন্যঃ

ফোন নম্বরঃ ০১৭২৯৬৭৭৮৬৭

হোয়াট্স্যাপঃ ০১৭২৯৬৭৭৮৬৭

ফেসবুক পেইজ লিংকঃ (এখানে ক্লিক করুন)

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ! চাইলেই অর্টিকেলটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন৷

ধন্যবাদ!

1 comment

    ধন্যবাদ! খাঁটি মধু সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেলাম৷ 🙂

Leave a Reply