বাচ্চাদের মধু খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চাদের মধু খাওয়ার নিয়ম ও বিশেষ সতর্কতা

সব বাবা-মা ই চেষ্টা করেন তাদের বাচ্চাদের জন্য সবসময় নিরাপদ এবং সেরা মানের খাদ্য নিশ্চিত করতে৷ বাচ্চাদের কোন খাবারটা দিলে তারা সুস্থ থাকবে, তাদের গ্রোথ ঠিকমত হবে এনিয়ে তাদের চিন্তার যেন শেষ নেই৷ তাইতো বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে আছে খাঁটি মধু৷ অনেক মায়েরাই তাদের বাচ্চাদের জন্য খাঁটি মধু নিশ্চিত করতে অর্ডার করে থাকেন আমাদের শুদ্ধশপে৷ এর সঙ্গে কয়েকটি প্রশ্নও পেয়ে থাকি প্রায়সই মায়েদের থেকে৷ সেগুলি হল, বাচ্চাদের মধু খাওয়ার নিয়ম কি? বাচ্চাদের জন্য কোন মধুটা ভাল হবে? তাই আপনাদের সকলের অবগতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আজকে আলোচনা করছি৷ আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ নিশ্চিত করতে আর্টিকেলটি শেষ অব্দি পড়ার আহ্বান রইলো৷

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মধুর বিশেষ উপকারিতাঃ

  • বিভিন্ন কারণে বাচ্চাদের প্রায়সই সর্দি, ফ্লু এবং কাশি হতে দেখা যায়৷ এসকল অসুখ নিয়াময়ে প্যারাসিটামল কিংবা এ্যান্টিবায়োটিক এর পরিবর্তে খাঁটি মধু খাওয়াতে পারেন৷ খাঁটি মধু, তুলসি পাতার রস এ জাতীয় অসুখে তাৎক্ষণিক স্বস্তি প্রদান করে৷
  • বাচ্চাদের নিয়মিত মধু দিলে তাদের শরীরে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে৷
  • বাচ্চাদের মাল্টিভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত মধু খাওয়ানো খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে৷ মধুতে রয়েছে বিভিন্ন প্রায়োজনীয় ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড এবং খনিজ উপাদান৷
  • মধু আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়৷ নিয়মিত বাচ্চাদের মধু দিলে বাচ্চারা থাকবে চঞ্চল এবং প্রাণবন্ত৷
  • খাঁটি মধু বাচ্চাদের হাড়ের গঠন মজবুত করে৷
  • দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে৷
  • মধু বাচ্চাদের মস্তিস্কের উন্নতি ঘটায়৷ বাচ্চাদের মেধা বিকাশে বিশেষ সহায়তা করে৷
  • মধুতে বিদ্যমান বিভিন্ন এ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানসমহু বাচ্চাদের খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে৷

বাচ্চাদের মধু খাওয়ার নিয়ম ও বিশেষ সতর্কতা

১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু দেয়া যাবে কি?

আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে বাচ্চাদের জন্মের পর থেকে মধু খাওয়ানোর একটি প্রচলন রেয়েছে৷ তবে এটি মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়৷ বরং এটি আপনার বাচ্চার জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷

মধুতে অনেকসময় ইনফ্যান্ট বটুলিজম নামক একধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে৷ এটি Raw কিংবা Processed উভয় মধুতেই থাকতে পারে৷ প্রাপ্তবয়স্কদের এই ব্যাকটেরিয়া তেমন কোন ক্ষতিসাধন  করতে পারে না৷ তবে যেসকল বাচ্চাদের বয়স ১ বছর বা ১২ মাসের কম, তাদের কোন ক্রমেই মধু খেতে দেয়া যাবে না৷ কারণ ১ বছরের কম বয়সে বাচ্চাদের পরিপাকতন্ত্র পুরোপুরি সুগঠিত থাকে না৷ এজন্য, ইনফ্যান্ট বটুলিজম নামক ব্যাকটেরিয়া ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করলে নানাবিধ জটিলতা তৈরি করতে পারে৷ এমনকী, অসুস্থতার মাত্রা মারাত্বকও হতে পারে৷

তাই বাচ্চাদের মধু খাওয়ার নিয়ম হল বাচ্চার বয়স ১২ মাস হওয়ার পরে, দৈনিক অল্প পরিমাণে মধু খওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে৷ এতে কোন সমস্যা হবে না বরং বাচ্চার সঠিক গ্রোথে অনেক সাহায্য করবে৷ প্রাথমিক পর্যায়ে ১ ড্রপ করে মধু দিয়ে শুরু করতে পারেন৷

রেফারেন্সঃ Firstcry

বাচ্চাদের জন্য কোন মধু সবচেয়ে ভাল হবে?

যেসকল বাচ্চার বয়স ১ বছরের বেশি আপনি তাদের যেকোন ফুলের মধুই দিতে পারেন৷ তবে অবশ্যই মধু হতে হবে শতভাগ খাঁটি এবং নির্ভেজাল৷ ভেজাল বা নকল মধু বাচ্চাদের জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷বাচ্চাদের জন্য কেউ আমাদের থেকে মধু ক্রয় করতে চাইলে আমরা তাদের লিচু ফুলের মধুটা সাজেস্ট করে থাকি৷ লিচু ফুলের মধু খুবই সুমিষ্ট এবং সুঘ্রাণ যুক্ত হয়৷ অনেকসময় লিচু মৌসুমের মধুতে লিচুর মত একটা স্বাদও পাওয়া যায়৷ বাচ্চারা এই মধুটা খেতে খুবই পছন্দ করে সাধারণ৷

আরও জেনে নিনঃ

ভাল মানের মধু কোথায় পাবেন?

ভালো মানের মধু ক্রয় করতে আপনি চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটেই সরাসরি অর্ডার করতে পারেন৷ আমরা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল ঘুরে-ঘুরে অভিজ্ঞ মৌয়াল দ্বারা প্রাকৃতিক মৌচাক ভেঙে ভালো মানের মধুটা সরাসরি আমাদের সম্মানীত ক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করে থাকি৷ অথবা আমাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন৷

সরাসরি যোগাযোগের জন্যঃ

ফোন নম্বরঃ ০১৭২৯৬৭৭৮৬৭
হোয়াট্স্যাপঃ ০১৭২৯৬৭৭৮৬৭
ম্যাসেঞ্জারঃ (এখানে ক্লিক করুন)

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! আর্টিকেলটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে শেয়ার করে অন্যদেরও মধু সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে পারেন৷

ধন্যবাদ!

2 comments

    আপনাদের মধুর কোয়ালিটি খুবই ভাল৷ এভাবেই আপনাদের খাঁটি মধু সরবরাহের কার্যক্রম অব্যাহত থকুক৷ অনেক অনেক শুভকামনা রইলো!

      ধন্যবাদ!

Leave a Reply