Description
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু হলো বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট মধু। কারণ বাংলাদেশের একমাত্র সুন্দরবনেই শতভাগ অর্গানিক মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবন মানব সৃষ্ট বন নয় এবং সুন্দরবনের কোন গাছে কোন কীটনাশক বা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয় না। এই ম্যানগ্রোভ বনে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই গাছপালা গুলো বেড়ে ওঠে। এবং বুনো মৌমাছির দল এসকল গাছের ফুল থেকে পুস্পরস সংগ্রহ করে তাদের মৌচাকে মধু হিসেবে জমা করে। এজন্য সুন্দরবনের চাকের মধু শতভাগ অর্গানিক এবং গুনে-মানে সবচেয়ে সেরা।
সুন্দরবনের মধুঃ
আমাদের সুন্দরবনের চাকের মধুর বৈশিষ্ট্যঃ
- আমাদের কাছে সুন্দরবনের যে মধুটি রয়েছে এটি সুন্দরবনের বুনো মৌমাছির প্রাকৃতিক চাকের RAW মধু।
- এই মধুতে খুবই সু- মিষ্ট এবং ইউনিক একটি ঘ্রান পাওয়া যাবে।
- মধুটি দেখতে অনেকটা Light Amber রঙের হয়। তবে ফুল, সময় এবং আবহাওয়া ভেদে কিছুটা Light বা Dark রঙের হতে পারে।
- এই মধু খেতে খুবই সুস্বাদু এবং এর স্বাদ অন্যান্য সকল মধুর থেকে বেশ আলাদা৷
- সুন্দরবনের বিশেষ আবহাওয়া এর কারণে এই মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হয়৷
- এই মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক কম এবং ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি, তাই এই মধু জমে দানাদার হয় না৷ ফ্রীজে রাখলেও এই মধু সাধারণত জমে না৷ তবে, মধু ফ্রীজে রাখলে এর গুণাগুণ হ্রাস পায়৷
- এই মধুতে মেজরিটি খলিশা এবং গরান ফুলের পোলেন পাওয়া যাবে। তবে প্রাকৃতিক চাকের মধু হওয়ায় এই মধুটি মাল্টিফ্লোরাল। সুন্দরবনের অনেক ফুলেরই পোলেনের উপস্থিতি পাওয়া যাবে এতে৷
- বেশি পাতলা ঘনত্বের জন্য অনেকসময় পাত্র পরিবর্তনে বা ঝাঁকি দিলে এই মধুতে ফ্যানা তৈরি হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এই ফ্যানা আবার তরল মধুতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে৷
- এই মধুর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, মধু সংগ্রহের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মধুর উপরে হলুদ রঙের ফুলের পরাগ রেণু জমা হয়। এটাকে স্থানীররা মধুর গাদও বলে থাকেন। তবে, এটি খুবই স্বাস্থ্যকর এবং একটি উন্নত প্রোটিনের উৎস।
- আমরা ফুডগ্রেড কন্টেইনারে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সারাদেশে সুন্দরবনের মধু সরবরাহ করে থাকি, তাই পরিবহনে ভেঙে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না এবং গুণগত মানও বজায়ে থাকে।
সুন্দরবনের RAW মধুতে ফেনা হয় কেন?
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের RAW মধুতে অনেকসময় ঝাঁকি লাগলে ফেনা হতে দেখা যায়। ঝাঁকি লাগলে বা পাত্র পরিবর্তন করলে পাত্রের অর্ধেক কিংবা সম্পূর্ণ মধুই সাদা রঙের ফ্যানাতে রুপান্তর হয়। এটা দেখে সাধারণ মধু ক্রেতারা অনেকসময় মধু খাঁটি কিনা এব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন। কিন্তু এটি খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। বরং সুন্দরবনের মধু চেনার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। আসুন আমরা এই ব্যাপারে Scientific ব্যাখ্যা জেনে নেই!
আমরা সবাই জানি সুন্দরবন একটি ম্যানগ্রোভ বন। এই বনের আবহাওয়া আমাদের দেশের অন্য অঞ্চলদের আবহাওয়া থেকে সবসময়ই আলাদা থাকে। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ সবসময়ই বেশি থাকে। সঙ্গত কারণে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মৌচাকের RAW মধুতেও জলীয়দ্রবণের পরিমাণ সবসময় বেশি থাকে। অর্থাৎ মধুর ঘনত্ব অনেক কম হয় বা মধু খুব পাতলা হয়।
যার ফলে মধুতে একটু ঝাঁকি লাগলে বা মধুর পাত্র পরিবর্তন করলে মধুর মধ্যে এক ধরণের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং এতে কার্বন-ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। এই কার্বন-ডাইঅক্সাইডই মধুর মধ্যে বায়ু বুদবুদ সৃষ্টি করে, যা আমরা সাদা ফ্যানা হিসেবে দেখতে পাই। একই কারণে পাত্র যদি বন্ধ থাকে তবে পাত্রের ভেতরে গ্যাস তৈরি হয়। মধুটি প্ল্যাস্টিক বোতলে রাখলে বোতলটি অনেকসময় ফুলে যেতে দেখা যায়। আবার মধুটি কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করলে গ্যাসের চাপে পাত্রটি অনেকসময় ফেটে যায়।
তাই, সুন্দরবনের মধু যে পাত্রে রাখবেন, কিছুদিন পর পর এর মুখ খুলে ভেতরের গ্যাসটি বের করে দিন। তাহলে পাত্র ফেটে কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকবে না। মধুতে ফেনা তৈরি হলে মধুটি কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিন। ফ্যানা যুক্ত মধুটি আপনা আপনি পুনরায় তরল মধুতে পরিণত হবে। এবং এতে মধুর গুণগত মানের কোন পরিবর্তন ঘটবে না।
কেন আমাদের থেকে সুন্দরবনের মধু ক্রয় করবেন?
সুন্দরবন থেকে আমাদের দেশে যেসব মধু পাওয়া যায়, এর মধ্যে সবচেয়ে ভাল মানের মধুটা আমরা সংগ্রহের চেষ্টা করি সবসময়। আমরা যে মৌয়ালদলের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে থাকি তারা সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের জন্য সরকারিভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত। এছাড়া, সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনে এবং বিভিন্ন যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে মধুর সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করি।
এছাড়া মধু সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ সারাদেশে মধু ডেলিভারির ক্ষেত্রে পরিবহণের ঝুঁকি এড়াতে আমরা ফুড গ্রেড প্লাস্টিক জারে মধু ডেলিভারি করে থাকি।
Reviews
There are no reviews yet.